একটি কটনমিলের নিম্নশ্রেণীর কর্মচারী শহীদুল ইসলাম। নুন আনতে পান্তা ফুরালেও সেই নুনের টাকা বাঁচিয়ে রাস্তার বিভিন্ন সড়কের ধারে বৃক্ষরোপণ করতে ব্যাকুল হয়ে থাকেন সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের ৭ নং ওয়ার্ড কোবদাস পাড়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের সরকারের ছেলে শহিদুল ইসলাম।
সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন সড়কের দেখা মিলে শহিদুল ইসলাম এর হাতে রোপন করা বৃক্ষ। সেই ছোট্ট ছোট্ট গাছগুলো এখন বড় হয়ে এসেছে বিভিন্ন ফুল ফল ও ছায়া যুক্ত স্থান, যেখানে গ্রাম ও শহরের বিভিন্ন দূর-দূরান্ত থেকে আসা পথিকেরা গাছের নিচে কিছুক্ষণ অবস্থান করে ক্লান্তি দূর করেন। সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে নিহত হওয়ার ঘটনা বেশি হওয়ায় ইতিমধ্যে তিনি ৩ হাজারের অধিক তাল বীজ রোপন করেছে। এছাড়াও ৫ হাজারেরও অধিকক আম, জাম, কাঠাঁল চালতা গাছ সহ বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ রোপণ করেন। দারিদ্রতার মধ্যেও বৃক্ষরোপণ করায় শহিদুল ইসলামের নাম ডাক ভালোবাসা ছড়িয়ে পড়েছে এই অঞ্চলের মানুষের মাঝে।
শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি বাংলাদেশকে ফুলে ফলে ভরিয়ে দিতে চাই। করোনা মহামারিতে পৃথিবী বুঝতে পেরেছে অক্সিজেন আমাদের কতটা প্রয়োজন। মানুষ সব বুঝেও বিনা কারণে অবাধে গাছ কাটে। গাছে পেরেক ঠুকে পোস্টার মারে। এমন চলতে থাকলে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বাড়তে বাড়তে আমরা একদিন সমুদ্রের গর্ভে হারিয়ে যাব। আগামীর শিশু যেন বুক ভরে বিশুদ্ধ নিশ্বাস নিতে পারে, সেই প্রত্যয়ে আমার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।