ইদ্রিস আলী, চৌহালী প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার খাষকাউলিয়া ইউনিয়নের উত্তর খাষকাউলিয়া গ্রামে চাষ করা হচ্ছে উন্নত জাতের বেগুন। বেগুন চাষ করে লাভবান হয়েছেন কৃষক মো. নুর মোহাম্মদ।
তার চাষকৃত এসব কালো বেগুন দেখতে অত্যন্ত সুন্দর। ওজনে ভালো। উত্তর খাষকাউলিয়া গ্রামে প্রায় ১৩ শতক জমিতে তিনি বেগুন চাষ করে বাজিমাত করেছেন। উর্বর মাটি এবং সঠিক পরিচর্যায় বেড়ে ওঠা বেগুনের গাছগুলোতে ফলনও বাম্পার হবে বলে বিশ্বাস। এ ধরণের প্রতিটি গাছেই ১০-১২টি বেগুন ধরে। বিক্রি হয় ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি।
কৃষক মো. নুর মোহাম্মদ বলেন, বাজার থেকে বীজ কিনে ১৩ শতাংশ জমিতে বেগুনের বীজ রপন করেছিলাম। গত এক মাসে প্রায় ১০ হাজার টাকার চারা বিক্রি করেছি। বেগুন ধরলে মাসে ১০ থেকে ১৫ মন বেগুন বেঁচতে পারবো। মূল্য হবে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে সার ও কীটনাশক দিচ্ছি। আল্লাহ দিলে বেগুনের চাষ করে লাভবান হতে পারবো। সরকারি পর্যাপ্ত দিক নির্দেশনা, প্রণোদনা ও সহযোগিতা পেলে স্থানীয় কৃষিতে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব। যে পরিমাণ বেগুনের ফুল আছে তাতে পবিত্র রমজান মাসে বাড়তি টাকা আয় হতে পারে বলে আশাবাদী এ কৃষক।
ভূমুরিয়া গ্রামের কৃষক মো. সোনা মিয়া ও খাষকাউলিয়া গ্রামের কৃষক মহাআলম বলেন, আমি নুর মোহাম্মদের কাছথেকে চারা নিয়ে লাগিয়েছি ফুল আসা শুরু হয়েছে। বর্তমানে বাজারে আমাদের দেশীয় ফরমালিন মুক্ত এ বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে চৌহালীতে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জৈব কৃষি ও জৈবিক বালাই ব্যবস্থাপনায় কৃষক মো. নুর মোহাম্মদকে বেগুন চাষে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। ক্ষেতে পোকা দমনে ব্যবহার করা হয় ফেরোমন ও হলুদ ফাঁদ ও জৈব সার ব্যবহার করে ভালো ফলন পাওয়া যায়। তিনি আরও বলেন, কৃষক মো. নুর মোহাম্মদকে সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হবে। তার বেগুন চাষ দেখে স্থানীয় কৃষকরা আগ্রহী হয়েছেন। আগ্রহী কৃষকদেরকে পরামর্শ দিয়েছি। তারা আগামী মৌসুমে এ জাতের বেগুন চাষ করার প্রস্তুতি নিয়ে রাখছেন।