গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার কারণে ভদ্রঘাট ইউপি চেয়ারম্যান আ. মালেক ও নলকা ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কার সিদ্দিকসহ ৩৭জন আ. লীগ নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত ৩০০ ব্যক্তির নামে মামলা দায়ের করা হয়। গত ২৬ আগষ্ট কামারখন্দ থানায় লিখিত অভিযোগ করে মামলাটি দায়ের করেন হামলায় আহত শিহাব এর পিতা শামিম হোসেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত (৫ আগস্ট) সকাল ৯:৩০ এর দিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আহ্বানে প্রায় ৫ শতাধিক ছাত্র-জনতা ভদ্রঘাট বাজার থেকে কুটিরচরের দিকে বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় ১-১০ নং আসামীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও আওয়ামী লীগের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ লাঠি সোটা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়ে সংঘর্ষ বাধায়। সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ নেতাদের লাঠি, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বাদীর পুত্র শিহাব উদ্দিনসহ অনেকে আহত হয়। স্থানীয়রা তাঁদেরকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠায়। পরে শিহাবকে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ থেকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম জানান, নামীয় ৩৭ ও অজ্ঞাত ২০০/৩০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষ আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।