রায়গঞ্জসিরাজগঞ্জ

রায়গঞ্জে হৃদরোগে আক্রান্ত শিশু মনিয়া, বাঁচাতে চায় বাবা-মা

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে এক মাস বয়সের শিশু মনিয়া খাতুন। জন্মের পর থেকেই হৃদরোগে আক্রান্ত। তার বয়স মাত্র এক মাস। ছোট্ট এ শিশুটি জন্মের পর থেকে হৃদরোগজনিত সমস্যায় ভুগছে। বগুড়া এবং ঢাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে হৃদযন্ত্রে ছিদ্র আছে বলে জানান।

তার বাবা ইব্রাহীম আকন্দ বলেন, এখন ওষুধে কাজ হচ্ছে না। চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত অস্ত্রোপচার করাতে বলেছেন। অস্ত্রোপচার করানো না হলে মনিয়া খাতুনকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। তার চিকিৎসার জন্য ৭ লাখ টাকার প্রয়োজন। দরিদ্র বাবা মার পক্ষে এই অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়। সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের চান্দাইকোনা ইউনিয়নের শিমলা খন্দকার পাড়ায় সরকারের দেওয়া আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘরে স্ত্রী আশা খাতুন ও একমাত্র কন্যা সন্তান নিয়ে বসবাস তাদের। হাটে বাজারে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তারা বাউল গান গেয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। মেয়ের উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের দানশীল ব্যক্তিদের আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছে তার পরিবার।

মনিয়া খাতুনের মা আশা খাতুন জানান, আমার একমাত্র মেয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। নিজেদের যা ছিলো তা দিয়েই চিকিৎসাতে খরচ করেছি। আমার স্বামী হাটে বাজারে ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাউল গান গেয়ে যে টাকা পায় তা দিয়ে এখন আর চিকিসার ব্যয়ভার বহন করতে পারছি না।

চিকিসার জন্য অনেক টাকা লাগে। দরিদ্র পরিবারের পক্ষে চিকিৎসার এ ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। সন্তানকে বাঁচানোর জন্য ধারদেনা করে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয়রা বলছেন, অসুস্থ শিশুটি খুবই হাস্যজ্জ্বল। টাকার অভাবে চিকিৎসা অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় তার জীবনটা থমকে যাওয়ার পথে। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় ৭ লাখ টাকা। কিন্তু তার পরিবারের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়। ছোট্ট শিশুটির অসুস্থ্যতা পুরো পরিবারকে দুঃখের সাগরে ফেলে দিয়েছে। আমরা স্থানীয়ভাবে সহযোগীতার চেষ্টা করেছি। তার চিকিৎসায় সকলের সহযোগীতা প্রত্যাশা করছি। ( শিশুটির পিতা ইব্রাহীম আকন্দের ফোন নাম্বার ০১৭১৭-৯৪২০৩৪)

এ বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে বিশেষ কয়েকটি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। তবে তার চিকিৎসা করাতে প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ অর্থ। তাই সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই কয়েক লাখ টাকার বিনিময়ে ফুটফুটে সন্তান তার স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button