“সমবায়ে গড়ব দেশ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জে ৫৩তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত হয়। এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা জাতীয় পতাকা ও সমবায় পতাকা উত্তোলন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গত শনিবার (০২ নভেম্বর) সকালে সমবায় বিভাগ, সিরাজগঞ্জ ও সদর উপজেলার সমবায়ীবৃন্দের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কালেক্টরেট চত্বরে বনার্ঢ্য শোভাযাত্রা ও জাতীয় পতাকা উওোলন করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি ও প্রধান অতিথি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরমান হোসেন।
পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শহিদ এ কে শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
সমবায় কার্যালয়ের পরিদর্শক রেজওয়ানা ইসলাম জেমী এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুরতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সমবায় (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাদৎ হোসেন খান।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দিবসটির উপরে দিকনির্দেশনা মূলক ও তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. বরমান হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে সমবায়ের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ১৯০৪ সালে। এ সব সমবায় সমিতি শেয়ার ও সঞ্চয়ের মাধ্যমে পুঁজিগঠন, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, উৎপাদন, বিপণন প্রভৃতি কার্যক্রমের মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নসহ সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
সপ্তদশ শতকের শেষভাগ শিল্প বিপ্লব শুরুর পূর্ব থেকেই বিশ্ব সম্প্রদায়ের নিকট সমবায় সংগঠনের ভাবনা শুরু হয়। ১৭৫২ সনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন সর্বপ্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে সমবায় সমিতির গোড়াপত্তন করেন। বৃটেনে আনুষ্ঠানিকভাবে সমবায় গঠিত হয় ১৮৪৪ সালে। এ সময়ে বৃটেনের রচডেল নামক স্থানের ২৮ জন তাঁতী মাত্র ২৮ পাউন্ড পুঁজি সহযোগে এ ধরনের ব্যবসায় গড়ে তোলে। এরপর জার্মানীতে কৃষক সমবায় সমিতি ও ফ্রান্সে উৎপাদক সমবায় সমিতি গঠিত হয়। আমাদের পাক-ভারত উপমহাদেশে ১৮৯৫ সালে ফ্রেডারিক নিকসন নামক এক উচ্চ পদস্থ ইংরেজ কর্মকর্তার নেতৃত্বে সমবায়ের সূত্রপাত ঘটে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান, উন্নয়ন বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আসলাম সেখ। এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন উন্নয়ন বহুমুখী সমবায় সমিতির সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন, উদীয়মান কৃষি সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম খান, সহ- সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।