উল্লাপাড়াকাজীপুরকামারখন্দচৌহালীজাতীয়তাড়াশবেলকুচিরায়গঞ্জশাহজাদপুরসদরসিরাজগঞ্জ

সারা দেশে ৮৮৮ জনপ্রতিনিধিকে একযোগে অপসারণ

সিরাজগঞ্জের জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শামীম তালুকদার লাবু, সিরাজগঞ্জ পৌর মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা, শাহজাদপুর পৌর মেয়র মনির আক্তার খান তরু লোদী, উল্লাপাড়া পৌর মেয়র মো: নজরুল ইসলাম, বেলকুচি পৌর মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন, কাজিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান সিরাজী, রায়গঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শুভন সরকার, তাড়াশ উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান, শাহজাদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হালিমুল হক মিরু, উল্লাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম হিরো, কামারখন্দ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন চৌধুরী, বেলকুচি উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম সরকার, চৌহালী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবু ছাইদ (বিদ্যুৎ) সহ সারাদেশে স্থানীয় সরকার বিভাগের মোট ৮৮৮ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করেছে সরকার। এ বিষয়ে পৃথক আদেশ জারি করা হয়।

দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অপসারণ করা হয়েছে। এই ১২ সিটি করপোরেশন হলো ঢাকা দক্ষিণ, ঢাকা উত্তর, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রংপুর, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ। তাদের জায়গায় প্রশাসক বসানো হয়েছে। তারাই দায়িত্ব পালন ও দেখভাল করবেন সিটি করপোরেশনগুলোর। সোমবার (১৯ আগস্ট) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

স্থানীয় সরকার বিভাগের জারি করা পৃথক প্রজ্ঞাপনে ৬০ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা হয়েছে। রোববার (১৮ আগস্ট) এ বিষয়ে পৃথক আদেশ জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। মৃত্যুজনিত কারণে নাটোর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে খালি হওয়া ৬১টি জেলা পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, ৪৯৩ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা হয়েছে। চেয়ারম্যানদের স্থলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) দায়িত্ব পালন করবেন। সোমবার (১৯ আগস্ট) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত আদেশ দিয়েছে। এতে বলা হয়, এতদ্বারা উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এর ধারা ১৩(ঘ) প্রয়োগ করে বাংলাদেশের ৪৯৩ উপজেলা চেয়ারম্যানদের স্ব স্ব পদ হতে অপসারণ করা হলো। প্রজ্ঞাপনে মৃত্যুজনিত কারণে কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়। অপসারণকৃত চেয়ারম্যানদের স্থলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করবেন।

অন্যদিকে, আওয়ামী সরকারের আমলে নির্বাচিত ৩২৩ জন পৌর মেয়রকে অপসারণ করা হয়েছে। রোববার (১৮ আগস্ট) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে বলা হয়, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এর ধারা ৩২(ক) প্রয়োগ করে বাংলাদেশের নিম্নবর্ণিত পৌরসভার মেয়রদের নিজ নিজ পদ হতে অপসারণ করা হলো।

১৬ আগস্ট সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, বর্তমান প্রেক্ষাপটে, বিভিন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান অধিক্ষেত্রে জনগণকে নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদান নিশ্চিতকরণ, প্রশাসনিক কার্যক্রম চলমান রাখা ও জরুরি কারণে, সময়ের প্রয়োজনে, জনস্বার্থে ‘স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’, ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’, ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ ও ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারির লক্ষ্যে প্রস্তাবিত অধ্যাদেশসমূহের খসড়া উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন করা হয়েছে। তথ্য বিবরণীতে আরও জানানো হয়, বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে সরকার জনস্বার্থে কোনো সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং কাউন্সিলরকে অপসারণ করতে পারবে। একইভাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের অপসারণ করতে পারবে। একই সঙ্গে এগুলোতে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button