সংকট মোকাবেলা ৩০০ মেট্রিক টন সার মজুদ
আশিক সরকার, কামারখন্দ প্রতিনিধি: কামারখন্দ উপজেলায় রবি মৌসুমে কৃষক পর্যায়ে সুষ্ঠু সার সরবরাহ ও নায্য মূল্যে বিক্রির লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ হতে কঠোর মনিটরিং করা হচ্ছে। মজুতের মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি রোধে সারের গুদাম নিয়মিত পরিদর্শন ও সরকারী বাজার দরও তদারকি করছে কৃষি অফিস।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, গত ডিসেম্বর মাসে উপজেলায় বরাদ্দ ছিল ইউরিয়া ২৮৫ মেঃ টন, টিএসপি ১০৬ মেঃ টন, ডিএপি ১৭০ মেট্রিন ও এমওপি ১৪০ মেট্রিন টন । বর্তমান জানুয়ারী মাসে ইউরিয়া ৬০৬ মেঃটন, টিএসপি ১১৩ মেঃটন, ডিএপি ৩২২ মেট্রিন টন ও এমওপি ৯৭ মেট্রিন বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
সব মিলিয়ে বর্তমানে ইউরিয়া সারের মজুত ২২০ মেট্রিন, টিএসপি ৬৫ মেঃ টন, ডিএপি ২৮৬ মেট্রিন ও এমওপি ৯০ মেট্রিন। এ পর্যন্ত কৃষি প্রণোদনা কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রায় ৭০ মেট্রিন টন নন ইউরিয়া সার বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও যে কোন সংকট মোকাবেলা আরও ৩০০ মেট্রিন সার অতিরিক্ত বরাদ্দ হিসেবে অত্র উপজেলায় মজুত রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জেরিন আহমেদ জানান যে, বাজার তদারকীর পাশাপাশি ভ্রাম্যমান আদালতের উপস্থিতিতে বিসিআইসি ও খূচরা সারের গুদাম পরিদর্শন অব্যাহত থাকবে। সারের বাজারজাত নিয়ে কোন অনিয়ম ধরা পরলে কোন রুপ ছাড় দেওয়া হবে না। এছাড়া তিনি, অত্র উপজেলার সকল কৃষক ভাইদের দোকানে লাল সালুতে উল্ল্যেখিত সরকার নির্ধারিত মূল্যে এবং ক্যাশ মেমো সহকারে সার ক্রয়ের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে ।
উপজেলা কৃষি অফিসার, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসারগন ও উপসহকারী কৃষি অফিসারদের উপস্থিতিতে সারের গুদাম চেক ও বাজার তদারকি করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কামারখন্দ। উপজেলার চাহিদা মাফিক সারের চালান আসার পর উপজেলা কৃষি অফিস এই তৎপরতা কার্যক্রম শুরু করেছে। উদ্দেশ্য, চাহিদা অনুযায়ী সারের সরবরাহ ও সরকার নির্ধারিত মূল্য নিশ্চিত করা। জানা গেছে, সারের বাজার স্থিতিশীল ও চাহিদার অনুপাতে সরবরাহ রাখতে তাৎক্ষনিক মোবাইল কোর্টও পরিচালনা করা হবে। এক্ষেত্রে মূল্য তালিকা না টাঙানোসহ সরকার নির্ধারিত দামের বেশি নিলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।