রোববার (৩০ জুন) মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সিরাজগঞ্জ ৬৮ মেগাওয়াট সোলার পার্ক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ৮ থেকে ১৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু ও নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর পশ্চিম পাড়ে যমুনা নদীর অববাহিকায় বাংলাদেশ ও চীনের দুটি কোম্পানির যৌথ অর্থায়নে বিশাল এ সোলার পার্কটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
প্রকল্প অফিস সূত্র জানায়, বাংলাদেশের এনডাব্লিউপিজিসিএল (নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড) এবং চীনের সিএমসি (চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন) যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। “সিরাজগঞ্জ ৬৮ মেগাওয়াট সোলার পার্ক” নামে এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ৮৮০ কোটি টাকা।
চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশনের (সিএমসি) ডেপুটি ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল মারুফ বলেন, যমুনাপাড়ের অব্যবহৃত কৃষিজমি বাংলাদেশ ও চীনের দুটি কোম্পানি বাংলাদেশ-চায়না রিনিউয়েবল এনার্জি কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিআরইসিএল) নামে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ২১৪ একর জমি ২৫ বছর মেয়াদে লিজ নেয়। এরপর ৯ জানুয়ারি ২০২৩ এ বিদ্যুৎকেন্দ্রেটির পিপিএ (পাওয়ার পার্সেজ অ্যাগ্রিমেন্ট) এবং আইএ (ইমপ্লিমেন্টেশন অ্যাগ্রিমেন্ট) স্বাক্ষরিত হয়। ৯ জুলাই ২০২৪ প্রকল্পের মেয়াদ থাকলেও আমরা ৩০ জুন থেকেই উৎপাদন শুরু করেছি। বৈরী আবহাওয়ার কারণে ৮ থেকে ১৭ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে, যেটা জাতীয় গ্রিডে যাচ্ছে। মিনিমাম ৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হলেই বাণিজ্যিক বিপণনে যাবে কেন্দ্রটি। প্রকল্প পরিচালক তানভীর রহমান বলেন, ২০২৩ সালের ৯ জানুয়ারি আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পের কাজ শুরু করি। প্রকল্প শেষ হওয়ার মেয়াদ ছিল ৯ জুলাই, ২০২৪। আমরা নির্ধারিত সময়ের ১০ দিন আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে উৎপাদন শুরু করেছি। বর্তমানে রেডি অ্যাবিলিটি (প্রস্তুত ক্ষমতা) রানে রয়েছে। উৎপাদন শুরু হলে জাতীয় গ্রিডে ৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে। প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ১০ দশমিক ২ ইউএস সেন্ট মূল্যে পিডিবির কাছে বিক্রি করা হবে।