উল্লাপাড়াসিরাজগঞ্জ

ঈদে বেড়েছে কামারদের ব্যস্ততা

আনিছুর রহমান : ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বড় উৎসব ঈদুল আযহা। যা কোরবানির ঈদ বলে পরিচিত। আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে সলঙ্গায় পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম বানাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা। দা,বটি, হাসুয়া, চাপাতি, ছুরি,চাকুসহ নানাবিধ সরঞ্জাম তৈরী করছেন কামাররা। সারা বছরে কামারদের তেমন টুং-টাং শব্দ শোনা না গেলেও বর্তমানে মুখরিত কামারশালাগুলো। নতুন দা,ছুরি বানানোর পাশাপাশি মাংশ কাটার পুরাতন সরঞ্জামগুলো শান দিচ্ছেন তারা।

বছরের অন্যান্য দিন গুলোতে তেমন কাজ হাতে থাকে না কামারশালায়। বর্তমানে ভোর থেকে শুরু করে অনেক রাত পর্যন্ত চলছে তাদের ব্যস্ততা। তবে কয়লা, লোহা আর পারিশ্রমিকের মূল্য বৃদ্ধির ফলে আগের মত লাভ নাই বলে জানান কামাররা। অনেকে আবার পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য ধরে রাখতে এখনও রয়েছেন এ পেশায়।

সলঙ্গা বাজারসহ থানার ৬ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট বাজারের কামারদের সাথে কথা হলে তারা বলেন,এ পেশায় সারা বছরই মন্দাভাব।ইরি-বোরো মৌসুমে কিছুটা ব্যবসা চললেও তা দিয়ে তেমন লাভ হয় না। তাই আমরা এই কোরবানীর সময়ের অপেক্ষায় থাকি। সলঙ্গা থানা সদর কদমতলা (তরকারি হাটা) কর্মকার আ: সামাদ বলেন, প্রায় ৫০ বছর ধরে কামারের ব্যবসা করে আসছি । প্রতি সপ্তাহে সোমবার,বৃহ:বার হাট বসে। আগে ইরি-বোরো,আমন মৌসুম ও পাট কাটার সময়ে এলাকায় কাস্তে আর বড় বড় হাসুয়া তৈরির বায়না পেতাম। এখন আর তেমন কাজ নেই।

বর্তমানে প্রতিটি দা তৈরিতে কেজি প্রতি ৬০০ টাকা নেয়া হচ্ছে। বড় চাপাতি ৭০০ টাকা। ছোট চাপাতি ৫০০ টাকা। বড় চাকু তৈরিতে নেওয়া হচ্ছে ২ শ’ টাকা। ছোটগুলো ১শ’ টাকা। বড় ছুড়ি তৈরিতে নেওয়া হচ্ছে ২৫ শ’ টাকা। মাঝারি ১৫ শ’ টাকা। বটি তৈরিতে নেওয়া হচ্ছে দেড়শ টাকা থেকে আড়াইশ টাকা।

ক্রেতা ডা: জাহিদুল ইসলাম বলছেন, গরু- ছাগল সহ কোরবানির পশু জবাই করতে, মাংস কাটতে দা,বটি, চাকু ও ছুরির প্রয়োজন। তাই বাজারে দা, বটি ও ছুরি কিনতে এসেছি । তবে গত বছরের চেয়ে এবার দাম আরও বেশি বলে ক্রেতারা জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button