সিরাজগঞ্জ থেকে সৈয়দ শামীম শিরাজী: সিরাজগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলা ১২টি থানা সদর ও গ্রাম-গঞ্জের পাড়া-মহল্লায় অস্বাভাবিকভাবে বেড়েই চলেছে উঠতি বয়সের তরুন তরুনীদের মোবাইল আসক্তি। রাস্তাঘাটে মাঠে ময়দানে এমব তরুনেরা অভিভাবক শিক্ষক মান্যগন্য ব্যক্তিকে দেখেও না দেখার ভান করে প্রকাশ্যে এসব মোবাইল আড্ডায় মেতে উঠেছে। বয়স্ক বৃদ্ধারা তাদের আপত্তিকর ব্যবহারে ক্ষুদ্ধ হলেও তাদের নেই কোন লাজ-লজ্জা। তাই এ ব্যাপারে অভিভাবকেরা শংকিত হয়ে পড়েছে। এ থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ফিরিয়ে আনা না গেলে অদুর ভবিষ্যতে আরও ভয়ঙ্কর রূপ নেবে বলে মন্তব্য করেছেন, ভুক্তভুগী মহল।
জানা গেছে, জেলার সিরাজগঞ্জ সদর, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, তাড়াশ, রায়গঞ্জ, কাজীপুর, চৌহালী, বেলকুচি, এনায়েতপুর, সলঙ্গা থানা সদর সহ প্রত্যন্ত অঞ্চলেও দিবারাত্রি যুবক-যুবতিরা মোবাইল নিয়ে গেম খেলা, পর্ণ ছবি দেখা ও অশ্লীল ভিডিও দেখা শুরু করেছে। এতে করে অভিভাবকরা অস্থিরতায় জীবন যাপন করছে। শুধু কি তাই, অনেকে মোবাইল ফোনে প্রেমিক-প্রেমিকা বানিয়ে সুখের ঘর ছাড়ছে। এমনও দেখা যাচ্ছে তারা প্রেমিক প্রেমিকার চেহারা সুরাত বয়স বিবেচনা না করে অন্ধের মতো মোবাইলে তাদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে এক পর্যায়ে পালিয়ে গিয়ে তাদের সামনে হাজির হচ্ছেন তখনই ঘটছে বিড়ম্বনা। আবার, অনেক সময় ঘটছে অসম বয়সীদের বিয়ের বিড়ম্বনা। এই অস্বাভাবিক অসম বিয়ে মেনে না নিয়ে আবার তারা ঘরে ফিরছে। এতে করে মানসম্মান বজায় না থাকায় সচেতন মহল উৎদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। স্কুল-কলেজগামি শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার পাঠ চুকিয়ে এমন কাজে মত্ত হয়ে পড়ায় অভিভাবকেরাও দুঃচিন্তায় দিন কাটাচ্ছে।
এব্যাপারে তাই সাধারণ অভিভাবকগন মনোবিজ্ঞানী, সমাজবাদী, শিক্ষিত, সচেতন মহলসহ ঊচ্চপর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সামাজিক এই দুরাবস্থা থেকে ভবিষৎ নাগরিকদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে বিশেষ ভুমিকার রাখার আবেদন করেছেন।