সদরসিরাজগঞ্জ

জেলার ৬ আসনে আ. লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ৩৭ জন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য সিরাজগঞ্জের ৬টি আসনে দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছেন আওয়ামী লীগের ৩৬ জন নেতা। সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকেল পর্যন্ত এই মনোনয়নপত্র করেন তারা। এদের মধ্যে ভাই-বোন, জামাই-শ্বশুর, স্বজনও রয়েছেন। ফলে দলীয় মনোনয়ন পেতে নিজেদের মধ্যেই লড়াই করতে হবে তাদের।

সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর-সদরের আংশিক) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য (এমপি) তানভীর শাকিল জয় ছাড়াও দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তার চাচাতো ভাই শেহেরিন সেলিম রিপন।

সিরাজগঞ্জ-২ (কামারখন্দ-সিরাজগঞ্জ) আসনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ৬ জন। এদের মধ্যে বর্তমান এমপি অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না ছাড়াও কে এম হোসেন আলী হাসান, আব্দুস সামাদ তালুকদার, আব্দুর রউফ মুক্তা, জান্নাত আরা তালুকদার ও শেহেরিন সেলিম রিপন।

সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনের ১২ জন দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছেন। এদের মধ্যে বর্তমান এমপি আব্দুল আজিজ, হোসেন মনসুর, সাখাওয়াত হোসেন সুইট, নজরুল ইসলাম মানিক, লুৎফর রহমান দিলু, ইমরুল হোসেন ইমন তালুকদার, আব্দুল হাদি আল মাজি জিন্না, আবুল কালাম আজাদ হৃদয়, আব্দুল হালিম খান দুলাল, অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি, সঞ্জিত কর্মকার, শরিফুল আলম খন্দকার।

সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ৬ জন। এদের মধ্যে বর্তমান এমপি তানভির ইমাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম শফি, সেলিনা মির্জা মুক্তি, ইয়াছিন আলী। এ ছাড়া মনোনয়ন প্রত্যাশী নজরুল ইসলাম ও শওকত ওসমান সম্পর্কে আত্মীয় (ভাই)।

সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে ৫ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এদের মধ্যে বর্তমান এমপি আব্দুল মমিন মন্ডল, আব্দুর রহমান, মীর মোশারফ হোসেন। এছাড়া মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের সঙ্গে তার মেয়ের জামাই সাজ্জাদুল হক রেজাও আছেন।

সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) মনোনয়নপত্র সংগ্রহকরা ৫ জনের মধ্যে আছেন বর্তমান এমপি মেরিনা জাহান কবিতা ও তার আপন ভাই চয়ন ইসলাম আছেন। অন্যরা হলেন আব্দুল হামিদ লাভলু, হালিমুল হক মীরু, সাজ্জাদ হায়দার লিটন।

সিরাজগঞ্জের ৬টি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার জন্য দৌড়-ঝাপ শুরু করেছেন প্রত্যাশীরা। তাদের মধ্যে মন্ত্রী-এমপি ছাড়াও শিল্পপতি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান, আদালতে সরকারি কৌসূঁলি (পিপি), আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে থাকা কেন্দ্রীয়, জেলা-উপজেলা নেতারাও রয়েছেন। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরো দৌড়-ঝাঁপে শুরু করেছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। চায়ের দোকান, হাট-বাজারে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছেন- কে পাবেন দলীয় প্রতীক। মনোনয়ন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত প্রার্থীদের বাড়িতে সমর্থকদের ভিড় কমবে না বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button