জন্মের পর পৃথিবীতে প্রথম বাঁচতে শেখার উষ্ণতা পেয়েছিলাম মায়ের বুকে। জন্মের পর মা-ই আমাদের প্রথম আশ্রয়। আর বাবার আশ্রয়, সে তো আকাশের চেয়ে বড়। বাবার সাহসে কত শক্তি আর উৎসাহ-তা কি আমরা উপলদ্ধি করতে পারি? বাবা-মা মানে পুরো পৃথিবী। কি অসীম ভালোবাসা আর স্নেহ দিয়ে তাঁরা আমাদের শৈশব, কৌশরে আগলে রাখতেন। যৌবনে জীবন গড়তে নির্ভেজাল পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে জীবন গড়তে আপ্রাণ সংগ্রাম করেন। এই বাবা-মা-ই আমাদের হাটতে, কথা বলতে, লিখতে পড়তে শেখান। কিন্ত এই বাবা-মা-কে জীবনের শেষ বয়সে তার প্রিয় সেই সন্তান করে উপেক্ষা। সেই সন্তানের কাছে থেকেই অবহেলা অযত্ন, অবজ্ঞা, মানসিক নির্যাতন, এমনকি কখনো কখনো দুব্যবহারে শিকার হন। ফলে প্রিয় সন্তানদের কাছ থেকে চলে এসে আশ্রয় নেন বৃদ্ধনিবাস বা ওল্ডহোমে। সেই সব অবহেলিত, একাকীর যন্ত্রণায় জর্জরিত বাবা-মা’র জন্যই আমাদের হেনরী ভুবন।
হেনরী ভূবন প্রচলিত বৃদ্ধাশ্রমের ধ্যান ধারনার বাইরে একাকী, নি:সঙ্গ বৃদ্ধ মানুষদের সারা জীবনের অবদানের যথার্থ স্বীকৃতি। হেনরী ভূবনে জীবনের পড়ন্ত বিকেল বেলার মানুষদের শেষ সময়ের সম্মান ও নিরাপত্তা দেওয়াই আমার লক্ষ্য। হেনরী ভূবনে বৃদ্ধ বাবা- মা নির্ভাবনায় থাকবেন। সম্মান ও আনন্দের সঙ্গে জীবনের বাকি দিনগুলো উপভোগ করতে পারবেন- এ প্রতিশ্রুতি আমার। কথা দিলাম মানুষের সঙ্গে আছি। মানবতার পাশে আছি, থাকবো কেবল মানুষের জন্যই। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।