আনিছুর রহমান : দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উল্লাপাড়ায় প্রার্থীরা করছে ব্যাপক প্রচার প্রচারনা আর ভোটারদের মধ্যে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তার মধ্যে শেষ মুহুর্তের গণসংযোগ ও প্রচারণায় জনজরীপে শীর্ষে রয়েছেন মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী সেলিনা মির্জা মুক্তি।
তার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ মির্জা ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে বেসরকারি গেরিলা যোদ্ধারদল পলাশ ডাঙ্গা যুব শিবিরের পরিচালক। প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ মির্জা স্বাধীনতার পরে ৭৯, ৮৬ ও ৯৬ সালে উল্লাপাড়ার নির্বাচিত এমপি ছিলেন। জনদরদী জননেতা পিতা আব্দুল লতিফ মির্জার মেয়ে সেলিনা মির্জা মুক্তি এবারে উল্লাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী। প্রয়াত পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভোট যুদ্ধে লড়ছেন সেলিনা মির্জা। নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে তার নির্বাচনী এলাকা ছুটে বেড়াচ্ছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে মোটর সাইকেল মার্কায় ভোট প্রার্থনা করছেন। পথসভা, জনসভা, উঠান বৈঠক অব্যাহত রয়েছে। তার প্রতিটি গণসংযোগ যেন জনসমুদ্রে রুপ নিচ্ছে। সেলিনা মির্জার পক্ষে ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ও গণজোয়ার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। উল্লাপাড়া উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সেলিনা মির্জা মুক্তিকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় উপজেলাবাসী। সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, উল্লাপাড়ার সাবেক এমপি প্রয়াত নেতা আব্দুল লতিফ মির্জার পরিচিতি, অবদান, জনপ্রিয়তা ছিল পুরো সিরাজগঞ্জে। প্রয়াত বাবার স্বপ্ন পুরনে উল্লাপাড়া-সলঙ্গাবাসীর কাছে ভোট ও দোয়া চাইছেন তারই যোগ্য কন্যা,একজন পর্দানশীল, নীতিবান একমাত্র নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী মুক্তি মির্জা। ইতিমধ্যেই তিনি তার নির্বাচনী পথসভা, গণসংযোগে বলে বেড়াচ্ছেন যে,আমার বাবা প্রয়াত এমপি আব্দুল লতিফ মির্জাকে ভোট দিয়ে আপনারাই উল্লাপাড়া-সলঙ্গার এমপি বানিয়েছিলেন। তিনি শান্তির উল্লাপাড়া,স্বপ্নের সলঙ্গা রেখে গেছেন।কিন্ত তিনি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করে যেতে পারেন নি।বাবার মৃত্যুর পর উপজেলার রাজনীনিতে হাহাকার দেখা গেছে।শুন্যতা বিরাজ করছিল নেতাকর্মীদের মনে।তখন থেকেই আমাকে এমপি নির্বাচন করতে অনেকেই বলেছিলেন। সর্বোচ্চ মাঠের অবস্থান ভালো থাকার পরও যে কারনেই হোক জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিতে পারেন নাই।ওনার সিদ্ধান্ত আমি মাথা পেতে নিয়েছি।স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচনে না গিয়ে বাবার সহযোদ্ধা শফি চাচাকে মুরুব্বী হিসেবে সম্মান দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করি নাই।উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আমার নির্বাচনে ঈর্শ্বাম্বিত হয়ে হাতে গোনা কয়েকজন নেতা আমাকে নানা ভাবে কটুক্তি,অপদস্ত করা হচ্ছে। লতিফ মির্জা সারা জীবন আপনাদের ভাই হয়ে,বন্ধু হয়ে আপনাদের পাশে ছিল।
আমার বাবা সারা জীবন আপনাদের পাশে ছিল। ভাইয়ের মত শ্রদ্ধা করত,বন্ধুর মত ভালো বাসতো,বাবার মত সম্মান করত। প্রয়াত বাবা লতিফ মির্জার প্রতি মানুষের ছিল দৃঢ় ভালোবাসা। সাধারন মানুষের কাছে তিনি ছিলেন একজন সাদা মনের মানুষ আর নিষ্কন্ঠক রাজনীতিবিদ।সুখে-দুখে,বিপদে-আপদে তার একটাই ধ্যান-জ্ঞান ছিল,উল্লাপাড়া-সলঙ্গার মানুষের জন্য কাজ করা। তিনি নিজের জন্য কিছুই করেন নাই।স্ত্রী,সন্তান,পরিবার রেখে দিনরাত মানুষের সেবা করে গেছেন।আমি তারই সন্তান।আপনাদের বোন, আপনাদের মা।আমি যতদিন বেঁচে আছি আপনাদের পাশে থাকতে চাই।চেয়ারম্যান হয়ে নিজের কোন সুযোগ সুবিধা বা ক্ষমতার লোভ আমার প্রয়োজন নাই।প্রার্থী হয়েছি মরহুম বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে,উল্লাপাড়ায় আওয়ামী লীগের পরিচ্ছন্ন রাজনীতি ফিরে আনতে।হারিয়ে যাওয়া লতিফ মির্জার নেতৃত্বকে ফিরিয়ে আনতে এবং নেতাকর্মীদের হাহাকার দুর করতে চাই। তাই আমাকে বিজয়ী করার দায়িত্ব আপনাদের হাতে।সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে বলে এসেছি,যোগ্য পিতার সন্তান মুক্তি মির্জাকে উল্লাপাড়া-সলঙ্গাবাসী ভালোবেসে ভোট দিবেন।আমি শতভাগ বিজয়ের আশাবাদী।আশা করি, উল্লাপাড়া-সলঙ্গার মানুষ এবার বুঝিয়ে দিবে,ভোটের মাধ্যমে লতিফ মির্জার মেয়ে আমি মুক্তি মির্জাকে জয়যুক্ত করবে ইনশাআল্লাহ।