সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বলদীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ইউক্যালিপটাস গাছ রোপন করে রেখেছেন স্থানীয় খলিলুর রহমান নামের এক ব্যক্তি। এতে ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকরা নানামূখী সমস্যার মধ্যে রয়েছেন।
বলদীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশীগ্রাম ইউনিয়নের প্রত্যন্ত বলদীপাড়া গ্রামে ১৯৯০ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে বলদীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা খলিলুর রহমান বিদ্যালয়ের জন্য ৮ শতক জায়গা দান করেন। বিদ্যালয়ের সামনের জায়গাও তারই। তিনিই গাছ লাগিয়ে রেখেছেন।
প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, গাছের কারণে ছাত্রছাত্রীদের সাইকেল ও তাদের মোটরসাইকেল বিদ্যালয় থেকে দূরে ফাঁকা মাঠের মধ্যে রেখে আসতে হয়। গাছ থেকে পাতা পড়ে বিদ্যালয়ের বারান্দার ভেতরে ও সামনে আবর্জনায় ভরে থাকে। গাছগুলো চলাচলে বাধা হয়ে উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের দুই পাশের দরজার সামনে গাছ। তাছাড়া বিদ্যালয়ের সামনের পুরো জায়গা জুড়ে শতাধিক গাছ বেড়ে উঠেছে। গাছের কারণে বিদ্যালয়ের নাম ফলকও ঠিক মত দেখা যায়না।
বলদীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র মাহিম, ঝন্টু, শুভ, নিলয়, সিয়াম ও ছাত্রী তাছলিমা, উম্মেহানী বলে, একটু অন্যমনস্ক হলেই গাছের সাথে লেগে যায়। খেলা খেলাধূলাও করা যায়না। বিদ্যালয়ের সামনের গাছ কেটে জায়গা মুক্ত করে দেওয়া হোক।
প্রাক- প্রাথমিকের শিশু শিক্ষার্থী তুবা, রিয়া ও তন্ময় বলে, গাছের সাথে ধাক্কা লেগে আমরা ব্যাথা পাই। ভয়ে সব সময় শ্রেণি কক্ষের ভেতরেই বসে থাকি।
এদিকে জায়গার মালিক খলিলুর রহমান বলেন, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় জায়গা দিয়েছি। গাছ কেটে দেওয়া সম্ভব না।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মুসাব্বীর হোসেন খান বলেন, বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।