চৌহালী প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার খাষপুখুরিয়া মোকারভাঙ্গা মোড় এলাকায় এক প্রেমিক প্রতিবেশি দেবরের বাড়িতে উঠলেন ৩ সন্তানের জননী। সোমবার দুপুরে প্রথমে পরকীয়া প্রেমিক আব্দুল খালেক (৪৫) এর দোকানে এবং পরে বাড়িতে উঠে যায় তার প্রেমিকা পাচতোলা খাতুন। দিনভর বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন স্থানীয় মাতব্বর বর্গ। কিন্তু প্রেমিক আব্দুল খালেক মেনে নিলেও তার পরিবার বিষয়টি মেনে না নেয়ায় অমীমাংসিত থেকে যায়। তবে ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে নোটারী পাবলিক এর মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করার জন্য প্রেমিক আব্দুল খালেক ও প্রেমিকা পাচতোলা খাতুন সিরাজগঞ্জে গেছে বলে স্থানীয় সুত্রে যানা যায়।
স্থানীয় সুত্রে আরও জানা যায় দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে তাদের এ পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলছে। এর আগে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে কয়েকবার স্থানীয়দের দৃষ্টিগোচর হলে শালিসি বৈঠকে মীমাংসা করা হয়। কিন্তু থেমে থাকেনি তাদের সম্পর্ক। গত রোববার স্বামী জমশের আলী ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে স্ত্রীকে না দেখে খুঁজতে থাকেন, খুঁজে না পেয়ে এক পর্যায়ে বাড়িতে চলে আসেন। এদিকে রাত ১টার দিকে স্ত্রী বাড়িতে ফিরলে শুরু হয় বাকবিতন্ডা। পরেরদিন সকালে বিষয়টি নিয়ে আবারও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে স্ত্রী পাচতোলা খাতুন স্বামীর বাড়ি ছেড়ে দেবর ও প্রেমিক এর দোকান ও পরে বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
পাচতোলার ভাসুর আব্দুর রহিম বলেন, আমার ছোট ভাইয়ের বৌ পাচতোলা খাতুন ও আব্দুল খালেক দির্ঘদিন যাবৎ অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। আমরা আমাদের মান সম্মানের কথা চিন্তা করে কিছুই বলিনি। কিন্তু গতকাল সকালে পাচতোলা খাতুন তার প্রেমিক আব্দুল খালেকের বাড়িতে গিয়ে উঠেছে।
পাচতোলার ছোট ছেলে বলেন, আমি নিজে অনেকবার তাদের অনৈতিক কর্মকান্ড দেখেছি। গত কয়েকদিন আগে তাদের দুইজনকে আমাদের ঘরে দেখে দরজা বন্ধ করে দেই। পরে তারা দুজন মিলে দরজা ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার আমি সময় লাঠি দিয়ে আঘাত করি। যার কারণে আব্দুল খালেক আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।