‘খাদ্য হোক নিরাপদ, সুস্থ্য থাকুক জনগণ’ প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এনডিপি) বাস্তবায়িত সমন্বিত কৃষি ইউনিটের আওতায় জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উদযাপন করা হয়। গত ০২ ফেব্রুয়ারি রোববার দিবসটিকে কেন্দ্র করে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এনডিপি মাসুমপুর শাখার সভা কক্ষে এনডিপি’র পরিচালক (ঋণ সহায়তা কর্মসূচি) মোসলেম উদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খামারবাড়ি, সিরাজগঞ্জ এর অতিরিক্ত উপপরিচালক মশকর আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাজের হাসান। এনডিপির এরিয়া ম্যানেজার আনিছুর রহমান। এছাড়াও এনডিপি বাস্তবায়িত কৈশোর কর্মসূচির আওতাধীন ছেলেমেয়েরা এতে স্বত.স্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অতিরিক্ত উপপরিচালক মশকর আলী বলেন, ভেজাল খাদ্য নিরব ঘাতক। ভেজাল খাদ্য গ্রহণের ফলে একজন মানুষ ‘স্লো পয়জনিং’য়ের মতো ধীরে ধীরে কর্মশক্তি হারিয়ে, মেধাশুন্য হয়ে, নানা রোগে শোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয়। খাদ্যে ভেজাল করা সবচেয়ে গর্হিত কাজ। যারা খাদ্যে ভেজাল মেশান, তারা ধীরে ধীরে দেশ-জাতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে যেমন আইনগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। তেমনি যারা ক্রেতা এবং ভোক্তা তাদরকেও সচেতন হতে হবে। ভেজাল এবং অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। এজন্য আমাদেরকে নিরাপদ খাদ্য ও খাবার নিরাপদ রাখার বিষয়ে অবহিতকরণ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। ব্যাপকভিত্তিক সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। পরিবার এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সামজিক সংগঠনগুলো এক্ষেত্রে কার্যকর ভুমিকা রাখতে পারে।
এনডিপি’র পরিচালক (ঋণ সহায়তা কর্মসূচি) মোসলেম উদ্দিন আহমেদ নিরাপদ খাদ্যের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষক, ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর জোর দেন। ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এনডিপি) এর এমন উদ্যোগ খাদ্য নিরাপত্তা ও জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এবং ভবিষ্যতেও রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আলোচনা সভা শেষে নিরাপদ খাদ্য দিবসের তাৎপর্যের উপর রচনা এবং কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয় এবং ৬ জন বিজয়ী কিশোরীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হয় জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস। ওই বছর সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে সচেতন করে তোলার অংশ হিসেবে ২ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস পালনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা। এছাড়া বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) সর্বসাধারণকে জানানো এবং নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত, সরবরাহ, বিপণন ও বিক্রয় সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বিষয়ে সর্বস্তরে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করাই এ দিবসের প্রধান লক্ষ্য।