চৌহালীসিরাজগঞ্জ

চৌহালীতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই পশু জবাই, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

চৌহালি প্রতিনিধি: চৌহালীতে কোনো ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই অবাধে চলছে পশু জবাই। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নির্দেশনা থাকলেও তা মানছেন না কেউ। আর এসব পশুর মাংস বিক্রি হচ্ছে চৌহালী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন খোলাবাজারে। এতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে সাধারণ জনগণ। উপজেলার কোদালিয়া, কেআর পাইলট , ভুতের মোড়সহ বিভিন্ন হাটবাজারে চলছে পশু জবাই। এসব বাজারে কোনো স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করেই গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ জবাই করা হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সরাসরি খোলা মাটিতে অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই পশু জবাই হচ্ছে। এসব মাংস তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন সময়ে বাজার গুলোতে অসুস্থ রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগও উঠে।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা বেশির ভাগ রোগাক্রান্ত পশু বিভিন্ন হাটবাজার ও এলাকা থেকে কম দামে পশু কিনে জবাই করে মাংস বিক্রি করছেন। এসব পশু রাতেই জবাই করে বিভিন্ন এলাকার পাইকারি মাংস বিক্রেতাদের কাছে পাঠিয়ে দেন তারা।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক কসাই জানান, আমাদের বাজার সমিতির পক্ষ থেকে নির্দেশনা আছে কিন্তু মাংস ব্যবসায়ীরা যে গরুটি অসুস্থ মনে করে সে গরুটিই কেবল পরীক্ষা করে। আর যে সব দেখতে সুস্থ মনে হয় সেসব আর পরীক্ষা করায় না।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. জান্নাতি জানান, অসুস্থ গরুর গোশত খাওয়া স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে তারা ওইসব পশুর গোশত জব্দ করে মাটিতে পুঁতে ফেলেন এবং প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে নিদিষ্ট একটা ফরম কসাইগন সংগ্রহ করে কি ধরনের গরু জবাই হবে সে ব্যাপারে বিস্তারিত লিখে তারপর জবাই করতে পারবে। নয়তো তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা রয়েছে। পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যাপারে চৌহালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী নির্দিষ্ট জবাই খানায় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে পশু জবাই করতে হবে। আর কেউ অমান্য করলে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button