স্টাফ রিপোর্টার : সিরাজগঞ্জ শহীদ এম.মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের প্রভাষক, গাইনী বিশেষঞ্জ ডা: জেবুন্নেছা নিজেই প্রাইভেট হাসপাতাল খুলে চিকিৎসা বাণিজ্যে করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সরকারি হাসপাতালের ডিউটি ফাঁকি দিয়ে রোডে বেসরকারি হাসপাতাল খুলে দীর্ঘদিন ধরে সিরাজগঞ্জে আখড়া পেতে রোগী দেখছে বলেও গুঞ্জণ চলছে। সরকারি চাকরিবিধিতে ৩ বছরের উর্ধে একই প্রতিষ্ঠানে থাকার সুযোগ না থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে বছরের পর বছর সরকারি চাকরির আড়ালে দেদারছে প্রাইভেট হসপিটালে চিকিৎসা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। শুধু তাই নয়, প্রাইভেট হসপিটালে রোগী দেখতে দেখতে স্টাফ ফিরোজের সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে সম্প্রতি (জেবুন্নেছা-ফিরোজ) বিয়ে করার খবরে ডা: জেবুন্নেছাকে নিয়ে সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় বইছে।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল রোড এলাকায় “হেলথ কেয়ার হসপিটাল” নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের সাথে সরাসরি অংশীদারীত্ব আছেন বলে তিনি। সরকারি ডা: জেবুন্নেছার প্রাইভেট চিকিৎসা, নারী কেলেঙ্কারিসহ (জেবুন্নেছা-ফিরোজ) এর বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় নুরুল ইসলামসহ ভুক্তভোগীরা স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, স্বাস্থ্য মহা পরিচালক, মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের পরিচালক/অধ্যক্ষ ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। সিরাজগঞ্জ শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের প্রভাষক, স্ত্রী রোগ বিশেষঞ্জ এবং সাজার্রি ডাঃ জেবুন্নেছা দীর্ঘদিন যাবত হাটিকুমরুল রোডের বিভিন্ন ক্লিনিকে রোগী দেখেন। যার ফলে এ এলাকায় তার পরিচিতি ছড়িয়ে পড়েছে। ডাঃ জেবুন্নেছা এ পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে হাসপাতালের স্টাফ ফিরোজ নামে এক ব্যক্তির সাথে অংশিদারীত্বে “হেলথ কেয়ার হসপিটাল” নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিক গড়ে তুলেছেন। যা হসপিটালের ডিট সুত্রে জানা গেছে।
স্থানীয়রা অনেকেই জানান, হেলথ কেয়ার হসপিটালের মালিক শুনেছি ডা: জেবুন্নেছা ও ফিরোজ। সব সময় হেলথ কেয়ারে বসে ডা: জেবুন্নেছা রোগী দেখেন, সিজার করেন। এতদিনে জানতে পারলাম সে সরকারি মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের প্রভাষক,ডাক্তার।একজন সরকারি মেডিকেল কলেজের গাইনী বিশেষজ্ঞ হয়ে প্রাইভেট হসপিটালে দিনরাত রোগী দেখেন আর হসপিটালের স্টাফের সাথে দীর্ঘদিনের পরকীয়ায় জড়িয়ে বিয়ে করলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নীরব। প্রাইভেট হাসপাতালের অংশদারিত্ব বিষয়ে অভিযুক্ত ডা: জেবুন্নেছা কোন সদুত্তোর দেন নি। “হেলথ কেয়ার হসপিটাল” বিষয়ে ফিরোজ জানান, এর সাথে ডা: জেবুন্নেছার কোন অংশীদারিত্ব নেই। সে এখন আমার বউ।
সিরাজগঞ্জ শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন, সরকারি চাকরি করা অবস্থায় কেউ ব্যবসার সাথে জড়িত হতে পারবেন না। ডা. লায়লাকে প্রধান করে জেবুন্নেছার বিষয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নৈতিক চরিত্রস্খলন, ডা: জেবুন্নেছাকে জরুরি ভাবে অন্যত্র বদলী, বিভাগীয় শাস্তিমুলক ব্যবস্থাসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্থানীয় সচেতন মহল জোর দাবী জানান।