সবাই মিলে প্রতিরোধ গড়ি, মানব পাচার রুখতে এগিয়ে আসি, এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্র্যাকের যৌথ অর্থায়নে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম বাস্তবায়িত ইম্প্রুভড সাসটেইনেবল রিইন্টিগ্রেশন অব বাংলাদেশী রিটার্নি মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স প্রত্যাশা-২ প্রকল্পের অধীনে নিরাপদ অভিবাসন ও বিদেশ ফেরতদের পুনরেকত্রিকরণ বিষয়ক জেলা কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
গত মঙ্গলবার ( ০৩ জুলাই) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শহিদ এ কে শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে ব্র্যাক মাইগ্রেশান কর্মসুচী সিরাজগঞ্জের আয়োজনে জেলা অ্যাডভোকেসি কর্মশালার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক ডিস্ট্রিষ্ট কো- অর্ডিনেটর সিরাজগঞ্জের মো. রইসউদ্দিন।
কর্মশালা মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাইগ্রেশান কর্মসূচি ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ হোসেন খান ও সঞ্চালন করেন মাইগ্রেশন ও রিইন্ট্রিগ্রেশন সাপোর্ট সেন্টার সিরাজগঞ্জ সদর ডিস্ট্রিষ্ট কো- অর্ডিনেটর হামিদা আহসান।
সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) গনপতিরায় এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন করেন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।
কর্মশালার প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন,-ব্র্যাক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের এ আর্থিক সহায়তা সত্যি প্রশংসার দাবিদার। প্রবাস ফেরত ক্ষতিগ্রস্থরা এতে উপকৃত হবে। ব্র্যাক ১৯৭১ সাল থেকে বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজ করে আসছে। বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি প্রবাসীরা। তাদের শ্রমে-ঘামে দেশ এগিয়ে চলেছি। দক্ষতা অর্জন করে নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিদেশ ফেরত মানুষের পাশেও দাঁড়াতে হবে। বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সেই কাজগুলো করার চেষ্টা করছে। কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি, উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) রোজিনা আক্তার,সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আ. ফ ম ওবায়দুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জের ডি আইইও ( ৩) ডিএসবি মো. আহসানুজ্জামান, জেলা তথ্য অফিস সিরাজগঞ্জের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আলী, জেলা আনসারও ভিডিপি সিরাজগঞ্জের সার্কেল এ্যাডজুটেন্ট মো. সোহেল রানা, মহিলা অধিদপ্তর সিরাজগঞ্জের উপ-পরিচালক কানিজ ফাতেমা, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, গনমাধ্যমকর্মী, বিদেশ ফেরত কর্মী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ।