উল্লাপাড়া প্রতিনিধি: উল্লাপাড়ায় গোপনে বাল্যবিয়ে সম্পাদনের সময় ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে ভুয়া কাজী মাসুদ পারভেজকে (২৭) আটক করে। মাসুদ পারভেজ উপজেলার অলিপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে। একই সঙ্গে কামারখন্দ উপজেলার বড়কুরা গ্রামের ছাইদুল ইসলামের ছেলে বিয়ে পরানোর কাজে নিয়োজিত হুজুর লিয়াকত হোসেন (১৯) এবং কনের খালা উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের ফাতেমা খাতুনকে আটক করে।
পরে এদের মধ্যে কাজী মাসুদ পারভেজকে ১ বছরের কারাদন্ড, হুজুর লিয়াকতকে ১ মাসের এবং কনের খালা ফাতেমাকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. উজ্জল হোসেন আদালতের বিচারক হিসেবে এ দন্ড প্রদান করেন। এসময় উল্লাপাড়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন, উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ-পরির্দশক মাসুদ রানা ও ইউএনওথর ভ্রাম্যমান আদালত সহকারী শরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার সময় বিপদ বুঝে বর পক্ষের লোকজন দ্রুত পালিয়ে যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. উজ্জল হোসেন জানান, উল্লিখিত ভূয়া কাজী বড়হর ইউনিয়নের নিবন্ধিত কাজী মুরাদুজ্জামানের পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে অপ্রাপ্ত মেয়েদের অভিভাকদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে অবৈধ কাবিন নামা তৈরি করে আসছিলেন। আর উল্লিখিত লিয়াকত হোসেন এই কাজীর সঙ্গে থেকে বিয়ে পরাতেন। রোববার মধ্যরাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি তার সহকারীদের নিয়ে উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামে আব্দুল মমিন সরদারের বাড়িতে গিয়ে কাজী ও হুজুরকে হাতে নাতে ধরেন। ওই সময় মমিনের মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী তানিয়া খাতুনের সঙ্গে উল্লাপাড়ার সলঙ্গা ইউনিয়নের ভরমোহনী গ্রামের সুলতান মিয়া নামের এক ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল।
নির্বাহী কর্মকর্তা আরও জানান, ঘটনার সময় অপ্রাপ্ত মেয়েকে বিয়ে দেওয়ায় সহযোগিতার জন্য কনের খালা ফাতেমা খাতুনকেও আটক করে ১ মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালত ঘটনার সময় ভূয়া কাজীর নিকট থেকে দুটি নিকা রেজিষ্টার ও কয়েকটি টালি খাতা জব্দ করেন। ঘটনার সময় কনের বাবার নিকট থেকে ১৮ বছরের আগে মেয়েকে বিয়ে না দেওয়ার মুচুলিকা নেওয়া হয়।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন বড়হর ইউনিয়নের মূল কাজী মুরাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে উল্লাপাড়া মডেল থানায় এফআইআর দিয়েছে।