ফজলুল হক খান: রায়গঞ্জে আদমের খপ্পরে পড়ে ৫ পরিবার সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে। প্রতারক আদমের বিরুদ্ধে মামলা করায় প্রতারক আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সংম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।
মঙ্গলবার সকালে রায়গঞ্জ প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন লিখিত অভিযোগ করেন,উপজেলার বেতুয়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের পুত্র ভুক্তভোগি মোঃ আব্দুল খালেক। বর্তমানে সে পরিবার পরিজন নিয়ে বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারটি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আব্দুল খালেক জানান, উপজেলার আঁকড়া গ্রামের মৃত সাদেক হোসেনের ছেলে সিদ্দিক হোসেন (৫০) বিদেশে উচ্চ বেতনে চাকরি দেবার কথা বলে গত ১১ মার্চ তারিখে তিন লাখ ৫০হাজার টাকা গ্রহন করে। পরবর্তিতে আমাকে (মো. আব্দুল খালেক) সাপ্লাই ভিসার মাধ্যমে সৌদি আরবে পাঠিয়ে দেন। কিন্ত সেখানে গিয়ে দেখা যায় সাপ্লাই ভিসাটি ভুয়া। এ কারনে আমি সেখানে মানবেতর জীবন যাপন করতে থাকি। পরবর্তিতে পরিবারের নিকট থেকে টাকা নিয়ে ২০২২ সালের ১৫ এপ্রিল আমি দেশে ফিরে আসি। বাড়িতে এসে গত ০৩ মার্চ, ২০২৩ তারিখে আদম ব্যাপারি সিদ্দিক হোসেনের বাড়িতে গিয়ে তার নিকট টাকা ফেরৎ চাওয়া হলে আদম ব্যাপারী (সিদ্দিক হোসেন) আমার উপর মারমুখি আচরন করে ও প্রাণনাশের হুমকী দেয়। এঘটনায় আমি প্রতিকার চেয়ে গত ০৭ মার্চ তারিখে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ থানা আমলি আদালতে ৪০৬,৪২০ এবং ৫০৬(২) ধারায় মামলা দায়ের করি। মামলা দায়ের করার পর থেকেই আদম ব্যাপারী সিদ্দিক হোসেন আমাকে হুমকী দিতে থাকে। মামলা তুলে না নিলে প্রাণনাশের হুমকী দেয় অভিযুক্ত আদম ব্যাপারী সিদ্দিক হোসেন।
এদিকে ওই আদম ব্যাপারীকে টাকা দিয়ে সর্বশান্ত হয়েছেন অভিযোগ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন একই গ্রামের মৃত সোলায়মান আলীর পুত্র রাজু, উপজেলার রৌহা গ্রামের সালমান হোসন, বিলচন্ডি গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের পুত্র সাইদুর রহমান, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পিপুল বাড়িয়া গ্রামের ফরিদুল ইসলাম ।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ৫টি পরিবারের সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন। এবিষয়ে তারা উপজেলা প্রশাসন ও রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।