শাহজাদপুরসিরাজগঞ্জ

শাহজাদপুরে সোবহান ও জাহানারা দম্পত্তির বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা

শাহজাদপুর প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে ভালো বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে পাঠানোর নাম করে দুই ব্যক্তির কাছ থেকে ৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক দম্পত্তির বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীরা সর্বস্ব হারিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে এখন বিপাকে পড়েছেন।

প্রতারণার শিকার হয়েছেন উপজেলার পৌর সদরের কান্দাপাড়া মহল্লার মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে মো: জমিন প্রামানিক এবং তারই মেয়ের জামাই হাবিবুল্লাহ নগর ইউনিয়নের হাসাখোলা গ্রামের মো. আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. খোকন মিয়া।

স্থানীয় ভাবে একাধিকবার গ্রাম্য সালিস হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। পরে পাওনা টাকা ফেরত পেতে ভুক্তভোগী জমিন প্রামানিক সম্প্রতি হাবিবুল্লাহ নগর ইউনিয়নের রতনকান্দি উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত এন্তাজ আলীর ছেলে মো. সোবহান প্রামানিক(৬০) ও তার স্ত্রী মোছা. জাহানারা বেগম(৫২) উক্ত দম্পতির বিরুদ্ধে শাহজাদপুর চৌকি আদালতে মামলা করেছেন।

মামলার আরজি ও ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উক্ত দম্পতির মেয়ে ও মেয়ের জামাই মালয়েশিয়ায় থাকার কারণে ভুক্তভোগীদের ভালো বেতনের চাকরি ও সুযোগ-সুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে জাহানারা ও তাঁর স্বামী সোবহান ওই দুইজনের কাছ থেকে গত বছরের ৮ নভেম্বর দুইটি নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নয় লক্ষ টাকা নেয়। এরপর থেকে স্বামী-স্ত্রী তাঁদের বিদেশে পাঠানোর কথা বলে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। এ নিয়ে স্হানীয় ভাবে একাধিকবার সালিসও হয়।

বিষয়টি জানতে সরজমিনে রতনকান্দি গ্রামে গেলে হাজরা খাতুন, ইসলাম আলী, আক্তার হোসেন, আলেয়া খাতুন, রোকেয়া খাতুন, জয়নাল হকসহ আরো ভুক্তভোগীরা উক্ত দম্পতির কাছে বিভিন্ন অংকের টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করে। টাকা ফেরৎ চাইতে গেলে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ বিভন্ন রকম টালবাহানা করে বলে অভিযোগ করে ভুক্তভোগীরা।

এদিকে, টাকা নেওয়ার বিষয় অস্বীকার করে জাহানারা বেগম বলেন, আমি কোন টাকা কারও কাছ থেকে নেই নি। আমাকে মিথ্যা কথা বলে স্ট্যাম্পে সই নিয়েছে। তাঁর স্বামী সোবহান প্রামাণিকও অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কাওকে বিদেশে পাঠাই না, আমি মুদির দোকানদারি করে খাই।

তবে হাবিবুল্লাহ নগর ইউনিয়ন পরিষদের ১ং ইউপি সদস্য মো: রাজ্জাক হোসেন বলেন, বিভিন্ন সময়ে গ্রামে টাকা নিয়ে সালিস হয়েছে কিন্তু আমি কোন সালিসেই উপস্থিত ছিলাম না।

এ ব্যাপারে বাদীপক্ষের আইনজীবী মেরাজ হোসেন(রিংকু) বলেন, বিজ্ঞ আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে শাহজাদপুর থানা পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছে আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button