স্টাফ রিপোর্টার: শেখ হাসিনা তার ১৬ বছরের শাসনামলে উন্নয়ন বলতে দুর্নীতি, ঘুষ, স্বজনপ্রীতি, লুটপাট, খুন ও গুমের উন্নয়ন করেছেন। বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার কর্তৃক ৭মার্চ সহ আটটি দিবস বাতিলে প্রতি ইঙ্গিত করে, ৭মার্চ সম্পর্কে তিনি বলেন ৭মার্চ একটি দিন তবে মাইল ফলক নয়। বাংলদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু গতকাল সিরাজগঞ্জ বাজার ষ্টেশনে এক সম্প্রতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমাকে সহ বীনা দোষে হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বনোয়াট মামলা দিয়ে জেলে দেয়া হয়েছে। আমি মিথ্যা মামলায় আসামী হয়ে বিদেশে প্রায় দুই বছর নির্বাসিত জীবনযাপন করে আপনাদের ভালবাসায় আবারও ফিরে এসেছি। হাসিনা সরকারের সময় বিএনপি নেতা কর্মিকে গুম, খুন করা হয়েছে। তিনি এদেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চেয়েছেন। আমার নেতা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সবাইকে নিয়ে রাজনীতি করেছেন আমরাও তাই করতে চাই। তবে ইতিহাস বড় কঠিন। শেখ হাসিনা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেন নাই তাই জনরোষে দেশ থেকে ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছেন। তবে শেখ হাসিনার বিচার এই দেশের মাটিতেই হবে। বৃহস্পতিবার (১৭অক্টোবর) বিকেলে সিরাজগঞ্জের বাজার ষ্টেশনের জনসভায় জেলা সদর ও বিভিন্ন উপজেলা ও থানা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর হাজার হাজার নেতাকর্মী ব্যানার ফেষ্টুন নিয়ে অংশগ্রহণ করে। ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এসময় আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি এসময় নেতাকমিদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, আমার পরিবারের প্রতি খুনি শেখ হাসিনার সরকার কঠিন নির্যাতন চালিয়েছে। আমি দেশ থেকে পালিয়ে গেছি বলে প্রবাকান্ডা চালানো হয়েছে। কিন্ত আমি পালাইনি। আমার নেত্রী বেগম খালেদাি জয়া পালায়নি। বিদেশে থেকে নেতাকর্মিদের অন্দোলনের নির্দেশনা দিয়েছি বিশ্বব্যাপী জনমত তৈরী কাজ করেছি। কঠিন অবস্থার মধ্যেও আমি এবং আমার পরিবার সিরাজগঞ্জের মানুষের পাশে থেকেছি আগামীতেই থাকবো। আমাদের মূল সংগ্রাম কেবল শুরু হয়েছে। কাঙিতবিজয় অর্জনে সামনে কঠিন দিন পার করতে হবে। এজন্য দলীয় নেতাকর্মিদের তিনি প্রস্তত থাকার আহবান জানান। নিজ দলের নেতা কর্মিদের প্রতি হুশিয়ারী উচ্চারন করে বলেন, সবাই ভাল হয়ে যান, সবাই শুশৃংখল থাকবেন, মানুষের সাথে ভাল ব্যবহার করবে প্রকৃত বিএনপির নেতা কর্মি হয়ে থাকবেন। যারা দলের নির্দেশ মানবেন না আমরা ধরে নেব তারা আওয়ামীলীগের এজেন্ট দুবৃত্ত। তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য রুমানা মাহমুদের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু এর সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলীমসহ কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতা মুজিবর রহমান লেবু, মকবুল হোসেন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান দুলাল, সহ-সভাপতি আমর কৃষ্ণ দাস, আনিছুজ্জামান পাপ্পু, নাজমুল হাসান তালুকদার রানা ও শামীম আহামেদ, হারুনর রশিদ খান হাসান, যুগ্ম সম্পাদক রাশেদ হাসান রঞ্জন ও মোস্তফা নোমান আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান ও আবু সাঈদ সুইট সহ জেলা, থানা বিএনপি ও তার সহযোগী এবং অংঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।