ঐতিহ্যবাহী সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিকগন প্রেসক্লাব মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। অবস্থান কর্মসূচিতে সাংবাদিক বক্তারা দাবী করেন ঐতিহ্যবাহী এই প্রেসক্লাব এর দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সড়কে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুর ১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত শহরের চৌরাস্তা মোড়ের চারটি রাস্তা বন্ধ করে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এর আগে প্রেস ক্লাব নির্বাচন অনুষ্ঠানে আদালত কারণ দর্শাও নোটিশ ও গতকাল স্থিতাবস্থা জারি করেন। জানা যায়, তিনজন সাংবাদিক আদালতে মামলার করার প্রেক্ষিতে আদালত এ স্থিতাবস্থার আদেশ দেন। বক্তারা মামলা দায়েরকারী তিন সাংবাদিকের নিন্দা জ্ঞাপন করেন।
প্রেস ক্লাব সূত্রে জানা যায়, এর আগে প্রেসক্লাবের সার্বিক বিষয় নিয়ে অতি সম্প্রতি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক মীর মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, পৌর মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা, পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাড. কে এম হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন, আইনজীবী বিমল কুমার দাসের উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবে নির্বাচনী কার্যক্রম চলছিল। ১৯ জুলাই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাহেক সহসভাপতি ইসরাইল হোসেন বাবুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুল কুদ্দুস, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজল-এ-খোদা লিটন, সাবেক সহসভাপতি ও বাসসের প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম ফিলিপস, সাবেক সহসভাপতি এস এম তফিজ উদ্দিন, সমকালের প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম খান রানা, সাবেক দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এইচ ফিরোজী, আব্দুস সামাদ সায়েম, মোস্তাক আহমেদ নওশাদ প্রমুখ।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. আরিফুর রহমান মন্ডল বলেন, আদালতের প্রতি সবার শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিৎ। তারপরও বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মীর মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, আদালতের বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। অবরোধ করলেও আমাদের কিছু করার নেই।
এবিষয়ে মামলা দায়েরকারী তিন সাংবাদিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।