সিরাজগঞ্জে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণে যুবনারী ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। গত বুধবার ( ১৯ জুলাই) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শহিদ শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন সিরাজগঞ্জ ও এসইআইপি প্রকল্প অর্থ বিভাগ অর্থ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণে যুবনারীও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠানের সভাপতি সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মাদ মাহাবুবুর রহমান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নির্বাহী প্রকল্প পরিচালক এসইআইপি প্রকল্প অর্থ বিভাগ অর্থ মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফাতেমা রহিম ডীনা,এসময়ে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রনালয় অর্থ বিভাগ এসইআইপি প্রকল্পের উপ- নির্বাহী প্রকল্প পরিচালক যুগ্ম সচিব মাহফুজুল আলম খান, এসইআইপি প্রকল্প টিভিইটি স্পেশালিষ্ট ড. নূরুল ইসলাম, এসইআইপি প্রকল্পের সহকারী উপনির্বাহী প্রকল্প পরিচালক উপসচিব আসমা আরা বেগম, বর্ণমালা কমিউনিকেশন লিমিটেডর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ পিপুল, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব ও উপপরিচালক মোহাম্মাদ তোফাজ্জল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) সিরাজগঞ্জ গনপতিরায়, প্রমূখ। ফাতেমা
রহিম বলেন, বিগত বছরগুলোতে সরকার গৃহীত বহুমুখী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ অত্যন্ত সমোষজনকভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। দেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যেতে হলে ক্রমবর্ধমান এই প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। এজন্য দরকার দক্ষ জনবল। তাই দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের বার্তা কাঙ্ক্ষিত জনগোষ্ঠীর মাঝে পৌঁছে দিয়ে তাদের প্রশিক্ষণ গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। নারীসহ সমাজের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে দক্ষতা প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসার জন্য তিনি অংশগ্রহণকারীদের সহযোগিতা কামনা করেন।
সভাপতির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক জনাব মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে বিশ্বমানের দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। সেই উদ্দেশ্যে অর্থ বিভাগ ২০১৪ সাল থেকে সেইপ প্রকল্পের আওতায় দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জেলায় এ ধরনের ট্রেনিং কার্যক্রমে বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টির পথ তৈরি হবে।
কর্মশালায় সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি, নারী সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ, শিক্ষক, এনজিও কর্মী, কর্মহীন যুবক, ধর্মীয় নেতা এবং গণমাধ্যমকর্মী ও ৪০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।
