মো. ইমরান হোসেন আপন : কাগজে-কলমে প্রকল্প আছে কিন্ত হয়নি কাজ, অর্থবরাদ্দের খবরই জানেনা প্রকল্প সভাপতি। অভিযোগ উঠেছে একটি চক্র ঠিকই অর্থ পকেটস্থ করেছেন। এমন ভুতুরে নামে উন্নয়ন দেখিয়ে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার রাজস্ব খাতের সাড়ে ১৪ লাখ টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। অর্থ আত্মসাৎসহ সকল দুর্নীতির তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনে খাষকাউলিয়া পশ্চিম জোতপাড়া গ্রামের বেল্লাল হোসেন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে ইউএনও বলছেন একটু ধের্য্য ধরুন সরকারি অর্থ কেউ আত্মসাৎ করতে পারবে না, কাজ করতেই হবে। না হলে গ্রহণ করা হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, যমুনার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ চৌহালী উপজেলায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে রাজস্ব খাতের সাড়ে ১৪ লাখ টাকা ব্যায়ে ৮ টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এমন তালিকা হাতে এসেছে সংবাদকর্মীদের কাছে। প্রকল্পগুলো ঘুরে দেখা যায় অস্তিত নেই এমন নাম সর্বস্ব প্রকল্প দেখানো হয়েছে। প্রকল্পের কমিটিতে বিভিন্ন ইউপি সদস্যদের নাম দেয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে অবগত নয় স্থল ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছালমা জাহান, খাষপুখুরিয়া ইউনিয়নের মহিলা ইউপি সদস্য নাছিমা খাতুন। অন্যদিকে একটি প্রকল্পের সভাপতি একটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। কিন্ত এ নামে ওই ইউপিতে সদস্য নেই।
নিয়মানুযায়ী (২০২২-২৩ অর্থ বছরে) প্রকল্পের কাজ শেষ করে টাকা উত্তোলন করতে হবে। কিন্তু কাজ না করেই প্রকল্পের টাকা উত্তলন করা হয়েছে।
এবিষয়ে তৎকালীন উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও বর্তমানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি অসুস্থ থাকায় সঠিক সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। দ্রুত সময়ে সকল প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে। এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক সরকার বলেন, অভিযোগ মিথ্যা। সময় স্বল্পতার কারণে জুনের আগে কাজ সমাপ্ত করা সম্ভব হয়নি। প্রকল্পগুলির কাজ চলমান রয়েছে। দ্রুতই কাজ শতভাগ বাস্তবায়ন হবে। এদিকে চৌহালী উপজেলার ইউএনও মাহবুব হাসান জানান, আমি যোগদানের আগে এ প্রকল্পগুলো নেওয়া হয়েছে।
খোঁজ খবর নিচ্ছি। সরকারি অর্থ কেউ আত্মসাৎ করতে পারবে না। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।