সিরাজগঞ্জে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় করণীয় শীষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। গত বৃহস্পতিবার ০১ জুন, সকাল ১১ টায় অফিসার্স ক্লাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের জেলা তথ্য অফিস এর আয়োজনে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভার সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গনপতি রায়।
মতবিনিময় সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা তথ্য অফিসার মো. আবুল খায়ের। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মাদ মাহবুবুর রহমান।
সভায় মূল প্রতিপাদ্য উপস্থাপন করেন সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটিও শিক্ষা) মো. রায়হান কবির। এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন ও অর্থ মোহাম্মদ হান্নান মিয়া। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাশুকাতে রাব্বি, সিরাজগঞ্জ সদর সহকারী কমিশনার ভূমি এস এম রাকিবুল হাসান, দৈনিক সিরাজগঞ্জ প্রতিদিন পএিকার নির্বাহী সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ফ ম মাহবুবুল হক পাঠাগার এর সভাপতি, সিনিয়র সাংবাদিক ইসমাইল হোসেন, মাইটিভির জেলা প্রতিনিধি মোনায়েম খান, সবুজ কানন স্কুল অ্যান্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ আব্দুল হালিমসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, সরকারি দফতরের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
মুল প্রতিপাদ্য উপস্থাপন করতে গিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, রাজস্ব ১ম, ২য়, ৩য় শিল্প বিপ্লবের পটভুমি ও অর্জন তুলে ধরে আগামীর ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের ধারণা এর প্রয়োজনীয়তা, মৌলিক বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেন। এসময় তিনি আধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার কওে প্রচলিত উৎপাদন এবং শিল্প ব্যবস্তার স্বয়ংক্রিয়করনের জন্য ক্লাউড কম্পিউটিং, ইন্টারনেট অব থিংস এব আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলেন্সির ওপর ভিত্তি করে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের ধারণাগত দিকে বিস্তৃত ব্যাখা করেন। এসময় তিনি শিল্প বিপ্লবের ফলে একদিকে যেমন নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে অন্যদিকে অদক্ষ শ্রমিক বেকার হতে পারে। সেজন্য জনমানসকে প্রস্তুত করতে হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আরও ব্যাখা করেন স্মাপ বাংলাদেশের পথে অগ্রসর হতে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সোসাইটি ও স্মার্ট অর্থনীতির মৌলিক দিকগুলো ব্যাখা করেন। তিনি তার প্রতিপাদ্য বিষয় উপস্থাপনের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পথে চ্যালেঞ্জ ও আমাদের করনীয় বিষয়েও বিস্তারিত আলোকপাত করেন।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, দেশের মানুষের দেয়া রাজস্ব থেকে আপনাদের ফেলোশিপ এবং গবেষণা অনুদান প্রদান করা হচ্ছে। যারা ফেলোশিপ পাচ্ছেন, সর্বোচ্চ দায়বদ্ধতা নিয়ে জাতীয় উন্নয়নে কাজ করতে হবে। কারণ, আমরা চাই দক্ষ মানবশক্তি গড়ে তুলতে। বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তির নতুন নতুন উদ্ভাবন, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে। আমাদের অর্থনীতি কৃষিনির্ভর। কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ করে উন্নত করতে হবে। পাশাপাশি শিল্পায়নও আমাদের দরকার। আর শিল্পায়নের ক্ষেত্রে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযুক্ত দক্ষ মানবসম্পদও আমাদের গড়ে তুলতে হবে।’ আগামী দিনের বাংলাদেশ বা ২০৪১ এর মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার কাজে সকলকে নিবিড়ভাবে মনোনিবেশ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।