সিরাজগঞ্জ স্বার্থরক্ষা সংগ্রাম কমিটির আহ্বানে সিরাজগঞ্জের সঙ্গে দেশের অপরাপর অংশের রেলযোগাযোগ সম্প্রসারণের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন নেতৃবৃন্দ। গতকাল ৩০ জুন, রোববার সকালে বাজার স্টেশনে এক মানববন্ধনে বক্তারা সিরাজগঞ্জ জেলাকে কেন্দ্র করে রেল যোগাযোগ বাড়ানোর দাবি পুর্নব্যক্ত করেন। পরে তারা স্থানীয় এমপি ড. জান্নাত আরা হেনরি ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তিনদফা দাবী সম্বলিত স্মারকলিপি রেলপথ মন্ত্রীর কাছে প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে সিরাজগঞ্জ হতে খুলনায় দিবারাত্রি দুটি ট্রেন চালু, সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস’ ট্রেনটির আধুনিকায়ন ও এসি বগি সংযোজন এবং সিরাজগঞ্জ হতে বগুড়া রেল সংযোগ কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে সিরাজগঞ্জ জেলা দেশের অন্যতম ‘রেলসিটি’ হিসেবে পরিচিত ছিল। তখন সিরাজগঞ্জ হতে খুলনা দিবারাত্রি দুটি ট্রেন চালু ছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এ পথে ‘ঝটিকা’ নামে আরও একটি ট্রেন চালু হয়। ফলে খুলনাগামী ট্রেনের মাধ্যমে সিরাজগঞ্জের মানুষ ঈশ্বরদী, পাবনা, যশোর, কুষ্টিয়া প্রভৃতি জেলায় যাতায়াত এবং ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুবিধা ভোগ করে আসছিল। কিছুদিন পর ‘ঝটিকা’ ট্রেনটি চলাচল বন্ধ হলেও ‘চিত্রা’ ও ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ নামে দুটি ট্রেনে সিরাজগঞ্জের মানুষ খুলনায় যাতায়াত করার সুবিধা ভোগ করে আসছিল। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ১ জুলাই হতে একমাত্র ‘চিত্রা এক্সপ্রেস’ ট্রেনটিও বন্ধ হওয়ার ঘোষণা জানতে পেরে সিরাজগঞ্জবাসী হতাশ এবং মর্মাহত বলে মন্তব্য করেন বক্তারা। এসময়ে বক্তারা আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অভাবনীয় উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় তিনি দেশের সবগুলো জেলাকে যখন রেল নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে আসছেন। তখন সিরাজগঞ্জের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা শহরের সঙ্গে খুলনার ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা না থাকাটা কোনোভাবেই যুক্তি সংগত নয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সিরাজগঞ্জ স্বার্থরক্ষা সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক ডা. জহুরুল হক রাজা, সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফুল ইসলাম জগলু চৌধুরী, বাসদের আহ্বায়ক নব কুমার কর্মকার, জাসদের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কার ভূইয়া, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক ইমরান মুরাদ, আইনজীবী জুলফিকার আলী আজাদ, জাসদ নেতা নাজমুল ইসলাম মুকুল, ফুলাদ হায়দার খান প্রমুখ। মানব বন্ধনে বিভিন্ন পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহন করেন।