পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা শুরু করেছেন উত্তরাঞ্চালের মানুষ। উত্তর বঙ্গের প্রবেশদ্বার ঢাকা-সিরাজগঞ্জ মহাসড়কের ৪ লেনের উন্নতির কাজ প্রায় ৭০ শতাংশ শেষ হয়েছে। যানযট নিরসনের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা,১৭ টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে নানান পদক্ষেপের পাশাপাশি ভিন্ন ধরনের পরিকল্পনার উদ্যোগ নিয়েছেন রাজশাহী বিভাগীয় ডিআইজি। শনিবার (৬ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে মহাসড়কে গাড়ির চাপ বাড়লেও যানযট মুক্ত উত্তরগামী গাড়ি স্বাভাবিক ভাবেই চলাচল করছে ও সিরাজগঞ্জ রোড হাটিকুমরুল গোল চত্বরে যানবাহনগুলো নির্বিঘ্নে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা রুটে ভাগ হচ্ছে। ফিটনেস বিহীন গাড়ি,থ্রী হুইলার মহাসড়কে উঠা নিষিদ্ধ এবং ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে মহাসড়ক তদারকি ও অতিরিক্ত ৮৫০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন এর মাধ্যমে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়াও মহাসড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সিরাজগঞ্জ রোড হাটিকুমরুল গোল চত্বরে ওয়াচ টাওয়ার ব্যবহারের মাধ্যমে ৪ টি মহাসড়ক তদারকি রয়েছে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জ-টাঙ্গাইল মহাসড়ক পরিদর্শন করেছেন, পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ও হাইওয়ে পুলিশের প্রধান শাহাব উদ্দিন। এছাড়াও গত বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জ মহাসড়ক পরিদর্শন করেছেন, রাজশাহী বিভাগীয় ডিআইজি মোহাম্মদ আনিছুর রহমান।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি এম.এ ওয়াদুদ বলেন, শুক্রবার রাত থেকে গাড়ির সংখ্যা বেড়েই চলছে। ইতিমধ্যে মহাসড়কে যানযট নিরসনের লক্ষ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছি। মহাসড়কের চার লেন খুলে দেওয়ায় এবছরে ঈদ যাত্রায় যানযটের আশঙ্কা নেই। গণপরিবহনের নিরাপত্তা ও নিশ্চিত চলাচলের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
এবার ঈদে নাড়ির টানে উত্তরাঞ্চলে ঘরে ফেরা মানুষের যাত্রাপথ নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ রাখতে পুলিশ ভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য যাত্রীদের মুখে প্রশংসনীয় হয়ে উঠেছে।বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়ক হতে হাটিকুমরুল রোড গোল চত্বর পর্যন্ত সমস্ত ওভার ব্রীজ খুলে দেওয়া হয়েছে এছাড়াও সয়দাবাদ,কড্ডার মোড়,কোনাবাড়ী,সিমান্ত বাজার,কাশেম মোড়, নলকা,পাঁচলিয়া গুরুত্বপূর্ণ এলাকা সহ বগুড়া, রাজশাহী ও পাবনাগামী মহাসড়কে বিশেষ নজরে রেখেছে পুলিশের বিশেষ টিম।
বগুড়াগামী হানিফ পরিবহন এর বাস চালক মাহমুদুল আলম জানান, ঈদের সামনে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়ক থেকে হাটিকুমরুল গোল চত্বর পর্যন্ত ২২ কিঃমিঃ আতঙ্কের। তবে আজকে কোন ধরনের যানযট নেই। গত বছরের তুলনায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছি। এতে যাত্রীদের অনেক দুর্ভোগ কমছে।
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল বলেন, এবার ঈদে উত্তরাঞ্চালের ঘরমুখো মানুষ যেন সস্তিতে, যানযটের ভোগান্তি ছাড়া ঘরে ফিরতে পারে সেই লক্ষ্যে আমাদের আইনশৃংখলা বাহিনি কঠোর ভাবে ভুমিকা পালন করবে। যানযট নিরসনের জন্য আমরা খুব শক্ত অবস্থানে আছি। কেউ যদি থ্রী হুইলার,ফিটনেস বিহীন গাড়ি মহাসড়কে চালানোর চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বঙ্গবন্ধু সেতুর উত্তরের মহাসড়কের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান নির্ধারণ করে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।